কিছু অসহনশীল তাবলীগের কর্মীদের দেখা যায় তাবলীগকেই দ্বীনের একমাত্র কাজ মনে করেন এবং অন্যন্য মেহনত যেমন পীর - মুরীদীকে অস্বীকার করে বসেন । কেঊ কে্উ সরসরি অস্বীকার না করলেও এমন এমন কথা বলেন তাতে বুঝা যায় যে পীর মুরীদীর দরকার নেই । যেমন অনেক মুরুব্বীরাও এ কথা বলে থাকেন এই কাজের মাঝেই তাজকিয়া-এ নফস হবে , এই কাজে চলতে চলতেই এসলাহ হয়ে যাবে । ( অর্থাৎ এসলাহ বা তাজকিয়া -এ নফস এর জন্য পীর- মুরীদীর দরকার নেই )
একথাটি ওনারা কোথায় পেলেন তা আমার জানা নেই, তবে তাবলীগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা হজরত ইলিয়াস রহ: এবং এই কাজের প্রধান পৃষ্ঠপোষক শায়খুল হাদীস জাকারিয়া রহ: কখনই এ জাতীয় কথা বলেন নি । আর শায়খ জাকারিয়া ওনার ভক্ত তাবলীগের কর্মীকে হররত রায়পুরীর নিকট জোড় তাকিদ দিয়ে বয়াত হতে বলেছেন তা ওনার প্রকাশিত বই-এ ই আছে ।
বর্তমাণ যুগে তাবলীগের কর্মীরা চিল্লা দিলে ওনাদের অন্তরের অবস্হা শুধু উন্নতি ই হয় , অথচ হযরত ইলিয়াস রহ: বলেছেন মেওয়াতে সফরের দ্বারা - মানুষের সাথে মিলামিশার ফলে অন্তরের অবস্হার এত অবনতি হত যে ওনার পীর সাহরানপুরী বা সে যুগের প্রক্ষাত বুজুর্গ আব্দুর রহীম রায়পুরীর কাছে গিয়ে সে সব বিশেষ পরিবেশে অবস্হান না করলে অন্তরের অবস্হা ঠিক হত না!